জনবিতর্ক

মোহাম্মদ আবু সাঈদ

স্বৈরাচারের সামাজিক সম্মতি উৎপাদনের হালহকিকত

May 5, 2025   1 comments   4:58 am

আওয়ামী স্বৈরাচারের সামাজিক সম্মতি তৈরি হয়েছে প্রধানত, ঢাকার কালচারাল গোষ্ঠীর মাধ্যমে। ঢাকার বললাম এই কারণে, বাংলাদেশের যত সরকারি কালচারাল প্রতিষ্ঠান— শিল্পকলা, বাংলা একাডেমি, চারুকলা, বেসরকারি ছায়ানট এবং ‘মেইনস্ট্রিম’ মিডিয়ার প্রচারিত যে ‘কালচার’— তা মূলত ঢাকার‌ মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণীর কালচার। এ

Share

স্বৈরাচারের জন্ম ও বিকাশের প্রাথমিক ভিত্তি সামাজিক সম্মতি। সামাজিক সম্মতিকে রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে প্রশাসন। স্বৈরাচারের জন্ম সামাজিক সম্মতির মাধ্যমে‌ ; বিকাশ প্রশাসনের মাধ্যমে।

যে আওয়ামী স্বৈরাচারের পতন ৫ আগস্ট হয়েছে, তার সামাজিক সম্মতি কিভাবে হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাব জরুরী। জরুরী এজন্য যে, আগামীর বাংলাদেশে যদি আরেকটা স্বৈরাচারের বীজ বপন হয় তাহলে যেন তা অঙ্কুরেই বিনাশ করে ফেলা যায়। আওয়ামী স্বৈরাচারের পক্ষে সামাজিক সম্মতি কিভাবে এবং কাদের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে তার মানচিত্র সামনে রাখা আমাদের সতর্কতার জন্য অপরিহার্য।

আওয়ামী স্বৈরাচারের সামাজিক সম্মতি তৈরি হয়েছে প্রধানত, ঢাকার কালচারাল গোষ্ঠীর মাধ্যমে। ঢাকার বললাম এই কারণে, বাংলাদেশের যত সরকারি কালচারাল প্রতিষ্ঠান— শিল্পকলা, বাংলা একাডেমি, চারুকলা, বেসরকারি ছায়ানট এবং ‘মেইনস্ট্রিম’ মিডিয়ার প্রচারিত যে ‘কালচার’— তা মূলত ঢাকার‌ মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণীর কালচার। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তত গত ২০ বছরে এমন কোনো ইভেন্ট হয়নি যা ঢাকার বাইরের,  একচুয়াল বাংলাদেশকে রিপ্রেসেন্ট করে। এমন কোনো পরিচালক, মহাপরিচালক‌ও গত ২০ বছরে নিয়োগ হয়নি এসব প্রতিষ্ঠানে, যারা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব করে। ফলে, বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যে কালচার ধারণা তৈরি ও প্রচার হয়েছে তা একান্তই ঢাকার কালচার।

যাই হোক, কালচারাল গোষ্ঠীর মধ্যেও ক্যাটাগরি আছে: লেখক, কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, অভিনয়শিল্পী, সংগীতশিল্পী, ক্রিকেটার ইত্যাদি।

লেখক হিসেবে আওয়ামী আমলে যারা জনপ্রিয় ছিলেন: জাফর ইকবাল, হুমায়ূন আহমেদ,  ইমদাদুল হক মিলন, আনিসুল হক প্রমুখ। এরা সরাসরি শাহবাগে অংশগ্রহণ করেছে এবং তরুণদের উৎসাহিত করেছে। হুমায়ূন আহমেদ কি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন? না, কিন্তু তিনি যাকে সর্বশেষ স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন, মেহের আফরোজ শাওন, তিনি পারিবারিক ও বয়ান— উভয়ত‌ই আওয়ামী লীগ; ফলে হুমায়ূন আহমেদ সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও তাঁর যত জনপ্রিয়তা, প্রভাব প্রতিপত্তি সব‌ই তাঁর স্ত্রী শাহবাগ ও পরবর্তী সময়ে আওয়ামী স্বৈরাচারের পক্ষে ব্যবহার করেছেন।

বুদ্ধিজীবী হিসেবে প্রায় সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে ছিলেন আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আনিসুজ্জামান প্রমুখ। তারাও শাহবাগ থেকে শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থান পর্যন্ত (আনিসুজ্জামান জুলাই অভ্যুত্থান পর্যন্ত এই খতিয়ান টানতে পারেননি, তার আগেই ইতি টেনেছেন) আওয়ামী স্বৈরাচারের বৈধতা দিয়েছেন, বয়ান উৎপাদন ও বিপণনের মাধ্যমে।

কবি-সাহিত্যিক হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন, হেলাল হাফিজ, নির্মলেন্দু গুণ, আসাদ চৌধুরী প্রমুখ। নির্মলেন্দু গুণ তো স্বীকারোক্তি অনুযায়ীই আওয়ামী লীগের দালাল। হেলাল হাফিজ রাজনৈতিকভাবে ‘অরাজনৈতিক’, ফলত আওয়ামী স্বৈরাচারের পক্ষেই তার ‘অরাজনৈতিকতা’ ব্যবহৃত হয়েছে। ইতিহাসের কি পরিহাস, যে কবি পশ্চিম পাকিস্তানের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ লিখে বিখ্যাত হয়েছিলেন, সেই কবি আওয়ামী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে একটা হরফ‌ও লিখলেন না। আসাদ চৌধুরী জীবনের শেষদিকে ‘কিছুটা’ আওয়ামী বিরোধী ছিলেন বটে, কিন্তু কবিতায় তার দেখা মিললো না।

অভিনয়শিল্পী হিসেবে সুবর্ণা মুস্তাফা, আসাদুজ্জামান নূর, মামুনুর রশীদ, তারানা হালিমরা আগে থেকেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বয়ানে আওয়ামী লীগের লোক ছিলেন। স্বৈরাচারের পক্ষে সরাসরি দাঁড়াতে শুরু করেন শাহবাগে। তারপর তো অভিনয় শিল্পীদের পুরো গোষ্ঠীই লুটিয়ে পড়ে স্বৈরাচারের পদতলে। দৃশ্যমান পুরস্কার হিসেবে আসাদুজ্জামান নূর মন্ত্রী হলেন, এমপি হলেন সুবর্ণা মোস্তফা, সর্বশেষ ফেরদৌস। কেবল সিনিয়র অভিনয়শিল্পীরাই নন, বরং তরুণরাও দলে দলে যোগ দিয়েছেন স্বৈরাচারের ছায়াতলে। আরিফিন শুভ, নুসরাত ফারিয়া, বিদ্যা সিনহা মিম— তরুণদের মধ্যেও কে বাকি ছিল আসলে? শেখ মুজিবের বায়োপিকে অভিনয় করা আরিফিন শুভ কিভাবে ১ টাকার গল্পের ফাঁদে ফেলেছিলেন তার ভক্তদের, মনে আছে নিশ্চয়ই!

তরুণ সংগীতশিল্পীদের দায়িত্ব পড়েছিল মনে হয় গান বাংলার তাপসের উপর। তার অধীনে সংগীতশিল্পীদের একটি গ্রুপ আওয়ামী লীগের উইং হিসেবে কাজ করতো। ‘অরাজনৈতিক’ ও তুলতুলে ভাবালু স্বভাবের জলের গান ব্র্যান্ড অলিখিতভাবেই সার্ভ করেছে স্বৈরাচারকে। স্বৈরাচারের আমলে যে কোনো ‘অরাজনৈতিক’, ‘ফুল পাখি লতাপাতা’ স্বৈরাচারের পারপাস‌ই সার্ভ করে। জয় বাংলা কনসার্ট, বিজয় দিবস উপলক্ষে সংসদ ভবনে গানের আসর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীনদের ভোগবিলাসে আমন্ত্রিত গায়ক গায়িকা— প্রায় সবাই-ই তো স্বৈরাচারের পুতুলে পরিণত হয়েছিল। আসিফ আকবর, কনক চাঁপা, ন্যান্সিরা ছিল অচ্ছুৎ— যেনবা ছুঁলেই মাসোহারা কাটা যাবে।

ক্রিকেটাররা আওয়ামী স্বৈরাচারের পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে নেমেছিল শাহবাগের স্টেজে। সেই স্টেজে ছিল আমাদের দেশে যেসব ক্রিকেটারদের আইডল হিসেবে মানা হয় প্রায় সবাই। এই স্টেজ থেকেই সংসদে এসেছিলেন মাশরাফি, সাকিব। বাকিরা আওয়ামী খাতায় সরাসরি নাম লেখাননি, হয়তো ডাক পাননি, কিন্তু স্বৈরাচারের মাসোহারা নিতে কেই বা কার্পণ্য করেছে কোন্ কাজে!

ছায়ানট, উদীচি, চারুকলা নামক কালচারাল আঁতুড়ঘরগুলো যারা পরিচালনা করেছে তাদের প্রত্যেকে মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী বয়ান এবং কালচার হিসেবে কলকাতার বয়ানে বিশ্বাসী। শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞকে এরা সমর্থন দিয়েছে ‘জঙ্গিবাদ’ ঠেকানোর নামে, মুসলমান চিহ্নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে ‘প্রগতি’র নামে। ‘প্রগতি’র নামে আওয়ামী বয়ান ছড়িয়েছে সমাজে আর উৎপাদন করেছে সম্মতি।

একজন ব‌ইপড়ুয়া তরুণ, তার কাছে আইডল হিসেবে আছেন জাফর ইকবাল, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদরা। সে তরুণ কিভাবে স্বৈরাচারের গন্ধ পাবে? তার আইডলরা তো আওয়ামী লীগে কোনো সমস্যা দেখছে না। তার নাক বন্ধ করে রেখেছে তার আইডলরা। যত লাখ তরুণ জাফর ইকবালের ব‌ই পড়ে বেড়ে উঠেছে, আবু সায়ীদের বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়েছে তারা কেউই স্বৈরাচারের গন্ধ পায়নি।

সর্বজন শ্রদ্ধেয় আনিসুজ্জামান যখন হাসিনার সাথে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় ছবি তোলেন, চুমুক দেন চায়ের কাপে, তখন আনিসের গবেষণা ও বুদ্ধিজীবীতায় মুগ্ধ তরুণরা কিভাবে হাসিনার স্বৈরাচারী চেহারা দেখবে? সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী যখন সব দোষ ‘রাষ্ট্র’ নামক মেশিনকে দিয়ে আওয়ামী স্বৈরাচারকে আড়ালে রাখেন, তখন চৌধুরীকে গুরু মানা তরুণরা কিভাবে নাগাল পাবে স্বৈরাচারের?

এভাবেই শিল্প সাহিত্য, অভিনয় জগত, সংগীত জগত, ক্রীড়াঙ্গনসহ কালচারাল যত সেক্টর আছে প্রত্যেকটা জায়গায় ‘আইডল’ সেজে বসেছিল স্বৈরাচারের বয়ান উৎপাদকরা। এরাই ছিল স্বৈরাচারের প্রকৃত ভ্যানগার্ড। এদের কারণে তরুণ ও যুবসমাজ বুঝতেই পারেনি বহু বছর ধরে, যে, একটা দানব বেড়ে উঠছে।

বুদ্ধিজীবীগণ বলেন, মধ্যবিত্ত জেগে না উঠলে অভ্যুত্থান হয় না। মধ্যবিত্তকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল কারা? মধ্যবিত্তের রুচি ও চাহিদা পূরণ করে যারা ঠিক তারাই। ঢাকার যে কালচারের কথা লেখার শুরুতেই বলেছি সেই কালচারের প্রধান ভোক্তা মধ্যবিত্ত। মূলত মধ্যবিত্তের চাহিদা পূরণ করতেই ঢাকার কালচারাল সেক্টরগুলোর এত আয়োজন ও ব্যস্ততা।

আনিসুজ্জামান, জাফর ইকবাল, নির্মলেন্দু গুণ, কামাল চৌধুরী, আসাদুজ্জামান নূর, সুবর্ণা মুস্তাফা, সন্‌জীদা খাতুন, মামুনুর রশীদ, রুনা লায়লা, সাকিব, মাশরাফি প্রমুখদের মোলায়েম পরশে ঘুমিয়ে পড়েছিল ঢাকার মধ্যবিত্ত। এই ফাঁকে হাসিনা তার চোয়াল শক্ত করেছে। একের পর এক জাতীয়, স্থানীয় নির্বাচনের নামে তামাশা হয়েছে অথচ মধ্যবিত্তের ঘুম ভাঙেনি। সে যে ‘কালচারাল বালিশে’ ঘুমায় তাতে নড়চড় হয়নি।

আওয়ামী স্বৈরাচারের জন্ম ও বিকাশের প্রাথমিক ভিত্তি তৈরির জন্য সামাজিক সম্মতি উৎপাদন ও বিপণনের কাজ করেছে ঢাকার কালচারাল গোষ্ঠী। পাশাপাশি মধ্যবিত্তের রুচি অনুযায়ী কালচার পয়দা করে সরকারকে বিপদমুক্ত রাখার কাজটাও। শেখ মুজিবকে জাতির পিতা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্রষ্টা, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধকে পুরোপুরি আওয়ামী মোড়কে হাজির করা, জঙ্গিবাদ ও কট্টরপন্থার মেকি গল্প— আওয়ামী বয়ানের প্রচার ও প্রসারে প্রধান ভূমিকায় ছিল কালচারাল গোষ্ঠী।

জুলাই অভ্যুত্থানে হাসিনার‌ও আগে, স্বৈরাচারের কালচারাল গোষ্ঠীর প্রধান জাফর ইকবালের পতন হয়েছে। বিটিভি ভবনে পতন হয়েছে অভিনয় জগতে থাকা গোষ্ঠীর। আনিসুল হকদের মুখোশ খুলে গেছে। মাত্র ১দিন আগে, ৪ আগস্ট আবু সায়ীদ প্রথম আলোতে কলাম লিখেছেন আন্দোলনের পক্ষে; ততদিনে লালকার্ড দেখানো হয়ে গেছে স্বৈরাচারকে। আবু সায়ীদ দেরিতে আসলেও, কোনোমতে নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছেন।

স্বৈরাচারের পতন ঘটলেও তার কালচারাল গোষ্ঠীর পতন হয়নি। স্বকৃত নোমানরা এখনো বাবুগিরি করে বেড়ায়, সুবর্ণা মুস্তাফারা সবক দেয় বাকস্বাধীনতার, শম্পা রেজাদের ইন্টারভিউ এখনো প্রচারিত হয় টেলিভিশনে। বাকপটু জাফর ইকবালকে তরুণরা চিনলেও চিনতে পারেনি মিনমিনে আবু সায়ীদদের ; অথচ জাফর ইকবালের তুলনায় আবু সায়ীদ বেশিই ক্ষতিকর।

জুলাই অভ্যুত্থানের তরুণ প্রজন্ম বুঝতে শুরু করেছে বয়ানের রাজনীতি। কালচারাল গোষ্ঠী কিভাবে বিনোদনের নামে তাকে বয়ানের ট্যাবলেট খাওয়ায় তা ধরে ফেলতে পারছে। মামুনুর রশীদদের ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’ আর নির্বিচারে গ্রহণ করছে না তাঁরা। আবু সায়ীদকে নিয়ে মিম বানাতে আর দু’বার ভাবছে না।

মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ঢুকে গেছে জুলাইতে। সে এখন মিম শেয়ার করতেও ‘পলিটিক্যাল কারেক্টনেস’ নিয়ে ভাবে। ৩২ ভাঙার পর এই তরুণরা গিয়েছিল ছবি তুলতে, বন্ধুদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে। কোনো বিনোদনকর্মীর ‘অরাজনৈতিক’ ট্যাবলেট তারা আর সহসাই গ্রহণ করবে না। তবে, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী বয়ান ও কলকাতার কালচারাল বয়ানের শেকড়ে যেতে আরো সময় লাগবে। ততদিনে কি আওয়ামী কালচারাল উইং আবারো ট্যাবলেট নিয়ে হাজির হয়ে যাবে? এদের খপ্পরে আবারো পড়ার মতো ‘বোকামি’ তরুণরা জুলাইতে ফেলে এসেছে।

স্বৈরাচারের প্রধান হাসিনার পতন যেভাবে রাতারাতি দৃশ্যমান হয়েছে, কালচারাল গোষ্ঠীর পতন তেমন রাতারাতি দৃশ্যমান কিছু নয়। গাছ ভেঙে পড়লে দেখা যায়, শেকড়ে পচন ধরলে দেখা যায় না। আমরা শুধু গাছ ভেঙে পড়তে দেখেছি ৫ আগস্ট, শেকড়ে পচন ধরেছে কিন্তু চর্মচোখে দেখতে পাচ্ছি না, দেখার কথাও নয়। এই পচনের ফল দেখা যাবে সেদিন, যেদিন জাফর ইকবালকে গণদুশমন ঘোষণা করা তরুণরা আবু সায়ীদের পাঞ্জাবির তলা থেকে বের করবে ‘স্বৈরাচারের কঙ্কাল’।

1 comment

  • Abdul Mannan Sohel

    অসাধারণ হয়েছে। খুবই যৌক্তিক ও প্রাঞ্জল শব্দের গাঁথুনি! দোয়া ও ভালোবাসা অফুরান

Leave your comment