জনবিতর্ক
জনবিতর্ক
শেখ হাসিনা এবং হাসিনা অব স্মল থিংস
শেখ হাসিনার একমাত্র যে জিনিসটা উনাকে অস্বাভাবিক ক্ষমতাধর বানিয়েছে— উনি মহৎ শত্রুর সন্ধানে থাকেন। শেখ মুজিবর রহমান আর তার পরিবারের হত্যায় জড়িত থাকা হত্যাকারীদের মাঝে তিনি যেন পিতার এই নৃশংস হত্যার স্বাভাবিক বিশ্লেষন ক্ষমতা হারালেন, যেন তিনি তার পিতার ঘাতক হিসেবে জিয়াউর রহমানকে চাইলেন, তিনি ২০০৮ এ তাকে রাজনীতি থেকে সরানোর দোষ আপসকামী গভর্ণর আর জেনারেলকে ভাবতে চান নাই। তিনি বেছে নিলেন প্রফেসর ইউনুসকে।
জনবিতর্ক
ভারতের বাংলাদেশ সংকট: সমস্যা আসলে আধিপত্যবাদী চশমার
এই মুহূর্তে ভারতের কোনও বন্ধু দেশ নেই৷ ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দিয়ে মালদ্বীপের ক্ষমতায় এসেছে একটি রাজনৈতিক দল। ভারত ঘনিষ্ঠ নেতা পুষ্পকুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন। শ্রীলঙ্কাতেও ভারত বিরোধিতা তীব্র। বাংলাদেশে ভারতের পুতুল সরকারের পতন ঘটেছে। অথচ এর পরেও ভারত বুঝতে পারছে না একটি দপশের জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে গণসম্মতিহীন অবৈধ সরকারের পক্ষে দাঁড়ানো তার নিজের স্বার্থের জন্যই বিপজ্জনক।
জনবিতর্ক
একটা কমন গ্রাউন্ড তৈরি করা নিয়া
একটা মিনিমাম গ্রাউন্ড প্রপোজ করতে চাই আমি— সেইটা হইতেছে, যে ক্রিমিনাল বা অপরাধি তার জন্য ন্যায়বিচার এনশিওর করা লাগবে সবচে আগে; ধরেন কেউ খুন করছে, তারে অন্য কেউ খুন করতে পারবে না, তার বিচার হইতে হবে!
জনবিতর্ক
আমরা কি শেষতক আমাদের খোয়াবের দুনিয়ার দেখা পাব?
গত জুলাই ম্যাসাকারের পর থিকা আমি আমার বন্ধুদের বারবার বলতেসিলাম, হেফাজতের এতিম পোলাগুলা আর জামাতের রাজাকারগুলা মরসে ভাইবা, আমাদের এখানের জ্ঞানি ও মুর্খ মিডলক্লাস নরমাল ও ইন্টেলেকচুয়াল কেউ শক্তিশালী আওয়াজ উডায় নাই, কিন্তু এখন যখন দেখলো, নিজেদের সন্তানরাও শুরু করসে খুনি হাসিনার হাতে মরা, টনক নড়সে ভালোভাবে।
জনবিতর্ক
বৈষম্য বিরোধী বাংলাদেশ
আধুনিক কালে আমরা যেইটারে ডেমোক্রেসি বলি, যে ভোটাভুটির মাধ্যমে আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করি, আমাদের রাষ্ট্র চালানোর লোক ঠিক করি, এর ভিত্তি হইল সোশ্যাল কনট্র্যাক্ট। মানুষদের লগে শাসকের চুক্তি হয়। শাসক বলেন আমি এই এই এই করব। মানুষ তারে নির্বাচন করেন। তিনি তাদের চাহিদামত কাজ করতে না পারলে তারা শাসক বদলাইতে পারবে, এটাই চুক্তির শর্ত।
জনবিতর্ক
সরকার কেন গণমানুষের পক্ষের প্রতিষ্ঠান না
ভয়ের বিষয় হইলো যেহেতু দেশের বিবিধ প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক নাই, ফলে জনগণ যেহেতু তাদের বিশ্বাস এই ‘ভাল মানুষদের’ সরকারের উপর সম্পূর্ণ অর্পণ করছে ফলে হইতে পারে তারা তাদেরকে ব্যবসার দায়িত্বও দিয়া দিতে পারে! কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনে রাখতে হবে এইটা সরকার! ফলে ‘সরকারের ব্যবসার’ ফলাফল রাশিয়ার সরকারের গোডাউনে থাকা ট্রাক্টরের মতই হবে যেগুলাকে আর পাওয়া যায় নাই ফসল কাটার সময়।