জনবিতর্ক
জনবিতর্ক, রিপ্রিন্ট, সংবিধান তর্ক
সংবিধান রচনা
পাকিস্তানের শাসনতান্ত্রিক সংবিধান রচনার সময় আমি বলিয়াছিলামঃ পাকিস্তানে ইসলাম রক্ষার চেষ্টা না করিয়া গণতন্ত্র রক্ষার ব্যবস্থা করুন। গণতন্ত্রই ধর্মের গ্যারান্টি। বাংলাদেশের সংবিধান রচয়িতাদেরও আমি বলিয়াছিলাম : বাংলাদেশের সমাজবাদের কোনও বিপদ নাই, যত বিপদ গণতন্ত্রের। গণতন্ত্রকে রোগমুক্ত করুন, সমাজবাদ আপনি সুস্থ হইয়া উঠিবে। পাকিস্তানের নেতাদের মতই আমাদের নেতারাও এই ‘বৃদ্ধের বচন’ শুনেন নাই।
জনবিতর্ক
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ‘প্রাথমিক’ আকাঙ্ক্ষাসমূহ
সব ছাপিয়ে কিছু ব্যাপার এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। যেমন, আগের মতো এখনও আমরা ‘ডিজিএফআই’ বা ‘আয়নাঘর’ শব্দগুলো যথেষ্ট ভয়ে ভয়ে উচ্চারণ করি। আমরা এখনও আশঙ্কা করছি, আয়নাঘরের কুশলীবদের পরিচয় জানতে চাইলে আমাদের উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারে কিনা। এখনও মনে হয়, মাথার উপর খড়গ হয়ে ঘুরছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।
জনবিতর্ক
দ্য মিনিং অফ হাসিনা: রয়ে যাওয়া কিছু বিপদ
এই আন্দোলন প্রমাণ করে গেছে যে, রাজনীতির ময়দানে জনগণ আসলে ‘হয়ে ওঠা’র ব্যাপার, কোনো পূর্বপ্রদত্ত ও স্থির ঘটনা নয়৷ আবার এই ‘হয়ে ওঠা জনগণ’ই ভেঙে যেতে পারে বিভিন্ন কারণে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ‘জুলাইয়ের জনগণ’-ও এখন খণ্ডিত, বিভক্ত।
জনবিতর্ক
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণসক্রিয়তার এস্থেটিকস: ‘ল্যাঙ্গুয়েজ’ প্রসঙ্গে
সেই বিন্দুটা কী? অবধারিতভাবেই শেখ হাসিনা সরকারের পতনের লক্ষ্যে চূড়ান্ত সক্রিয়তা। এমন সক্রিয়তায় যুক্ত থাকার জন্য আন্দোলনের ‘ল্যাঙ্গুয়েজ’ যে ভঙ্গিতে বা ঢংয়ে উপরোল্লিখিত সামাজিক, রাজনৈতিক, ও অর্থনৈতিক শ্রেণীগুলোর নিজস্ব ল্যাঙ্গুয়েজে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের সম্মতি উৎপাদন করতে পেরেছে, সেটাই গণসক্রিয়তার এস্থেটিকস।
জনবিতর্ক
অভ্যুত্থান-পরবর্তি বাংলাদেশে রাজনৈতিক শদিচ্ছার শুলুক শন্ধান
বদলের নানান বুদ্ধি পরামর্শ বাতাশে ঘুরতেছে। ঘোরাই উচিত। কিন্তু বুনিয়াদি বদলের খন আছে কিছু। ওইশব খনেই কেবল ফরমাল বদলের ভেতর দিয়া বাস্তব বদল তৈরি হইতে পারে। যেমন নতুন একখান দেশ শাধিন হইলে, কিম্বা, কোন বিপ্লব ঘটলে (কমিউনিষ্ট, এনার্কিষ্ট, ইছলামিষ্ট, মিলিটারি কু)।
জনবিতর্ক
অন্তবর্তীকালীন ভয়সমূহ
একটা বিপ্লব নিজের চোখে দেখা আর তার সাথে নিজের অনেক ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা জড়িত থাকার ফলে যে ধরনের জটিল এক সাইকোলজিক্যাল জার্নির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, সেটাকে পাশ কাটিয়ে নির্মোহ আর বুদ্ধিবৃত্তিক কোনো আলাপ শুরু করা দুরূহ হয়ে পড়ে, ফলে কোন ইন্টেলেকচুয়াল বয়ান নয়, বরঞ্চ আশা আর ভয়ের মানবিক গল্পকাতর অনুভূতির মধ্য দিয়েই যাই।