পয়লাতেই কয়েকটা জায়গা কিলিয়ার করতে হয়, কারন আমাদের জানা দরকার আমরা কোথায় আছি। আমরা এখনও একটা চলমান রেভুলুশনের ভিতরে আছি – একটা ডেমোক্রেটিক রেভুলুশন বা ডেমোক্রেটিক বিপ্লব। এই বিপ্লব কোনো ব্যক্তি, কোনো মাস্টারমাইন্ড বা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কারণে শুরু হয় নাই বরং জালিম শেখ হাসিনার জুলুমের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মাল্টিপল পক্ষের ইউনাইটেড ইন্টারেস্ট থিকা জন্ম নিছে যেখানে নানান জাতি, পেশা ও ক্লাছের মানুশ জয়েন করছে। ১৯৭১ যেমন ইন্ডিয়া-আওয়ামীলীগের কন্সপিরেছিতে ঘটে নাই, বরং পশ্চিম পাকিস্তানের জুলুমের বিরুদ্ধে পুবের পাকিস্তানের গনমানুশের বিপ্লব আছিলো, তেমনি ২০২৪ শাল ও ঘটছে গনমানুশের বহুদিনের দাবি- শঠিক কায়দায় ভোট হওয়া, শাসনের মুছাবিদায় পরিবর্তন, ও শেখ হাসিনার গদি ছাড়ানোর বাশনায়।
কিন্তু, দেশে ডেমোক্রেটিক পরিবেশ বা রাজনীতি কোনোটাই আছিলো না যার কারনে গণমানুশের এইশকল দাবি রাজপথে একযোগে হাজির হইতে পারে নাই। তাই, মাল্টিপল পক্ষের ইন্টারেস্ট থাকার পরেও শেখ হাসিনাকে গদিছাড়া করা যায় নাই নিয়ম মাফিক আন্দোলনের ভিতর দিয়া । এর জন্ন দরকার পরছে এমন মুভমেন্টের যেই মুভমেন্টের পপুলেশন এর ভিতরে বহুদিন বাইচা থাকার লোভ এখনো গজায় নাই (৩০ এর নিচের যাদের বয়শ), আর নাইলে বহুদিন বাচার লোভ ছাইড়া আসতে পারছে (৩০ এর উপরে যাদের বয়শ)। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক মেম্বার তাই এই মুভমেন্টের পপুলেশনরে আমাদের চিনায়া দিতেছে নিচের কায়দায় –
‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না।’
আর তাই এই মুভমেন্টের পিছের কারিগর হিশবে যারা আমেরিকার, বিএনপি, বা জামাতরে পরিচয় করায়া দিতেছেন তারা মুভমেন্টের ভিতরে থাকা মাল্টিপল ইন্টারেস্ট গুরুপের তিনটা গুরুপ পরিচয় করায়া দিতেছেন বাকিদের পরিচয় না করায়া দিয়া। কিন্তু, এই পার্শিয়াল ট্রুথ মিছা ইতিহাশ পয়দা করছে এবং করবে যেমনটা পয়দা হইছে ১৯৭১ শালের পর, যারে আমরা ‘চেতনার ইতিহাশ’ নামে চিনি। আর তাই সহি ইতিহাশ হইলো ২০২৪ এর রেভুলুশনে মাল্টিপল ইন্টারেস্ট গুরুপ এক হইয়া গনমানুশের ছুরত দিছে।
শেখ হাসিনারে গদিছাড়া করানোই এই রেভুলুশনের আল্টিমেট গোল না। আগেও কইছি জনগণের মনে বহুদিন ধইরাই সঠিক মতে ভোট হওয়া, শাসনের মুছাবিদায় বদল আনার ইচ্ছা আছিলো, এখনো আছে। পাশাপাশি গত ১৭ বছর ধইরা যেই রেজিম শেখ হাসিনা দাড়া করাইছেন তা এখনো হাজির আছে। দুনিয়ার অন্ন বাকশালগুলার মতনই শেখ হাসিনা এর ১৭ বছরের বাকশালী রেজিমের পাটাতনগুলার ভিতরে আছিলো শক্তিশালী ব্যুরোক্রেটিক ফোর্স (সচিবালয়), আছিলো পুলিশ – র্যাব বাহিনি, আছিলো মিডিয়া ইত্যাদি, এমনকি দখলে নিছিলো আদালত ও। পলিটিকাল অপোজিশন বা যেকোনো অপোজিশনেরই রাজনিতি হামলা-মামলা, গুম ও ক্রসফায়ার দিয়া বন্ধ করা হইছিলো। দেশে পলিটিকার পার্টির রাজনীতি বা ভোট আছিলো না, ভোট ডাকাতি আছিলো বাকশালি তালুকদারদের সংসদ দখলের রাস্তা। এই মাফিয়া শাসন দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে, দেশের ভিতরে বিনিয়োগ করেনি, কারন তাদের আখের এই দেশ আছিলোই না, বিদেশে তাই ওয়ারিশদের নামে জমি বাড়ি কেনা আছিলো। দেশের শম্পদ, তেল, গ্যাস, বিজলি নিয়া কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা জনগনের ছিল না, আর যারা প্রতিবাদ করেছে, যেমন আবরার, তাদের ব্রুটালি খুন করা হইছে। ঋনখেলাইপি কইরা বিদেশ পাচার করতো, উন্নয়ন নামে দুর্নিতি কইরা টাকা বিদেশ পাচার করতো। এমন একটা রেজিম উতরাইতে গেলে আর টেকশই চেঞ্জ আনতে গেলে এখনও অনেক কাজ বাকি, যার কারনেই কইতেছি ডেমোক্রেটিক বিপ্লব এখনও শেষ হয় নাই।
আমি এই লেখাটা লেখছি তাদের জন্য যারা শাসনের মুছাবিদায় (কন্সটিটুশন) এবং রাশটোর চেঞ্জ আনতে চায়। কিন্তু, এরিয়া হিশেবে পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন, নদী ও জীবনের সুরক্ষার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি এই লেখায়। কেউ কেউ মনে করে যেই লেখকেরা পাওয়ারের লগে ডিরেক্ট কনফ্রন্টে যাইতে চায় না তারাই দেশের পরিবেশ, বন, ক্লাইমেট চেঞ্জ, নদি নিয়া লেখে। কিন্তু, আবরারের ঘটনা আমাদের কিলিয়ারলি দেখাইছে যে এগুলাই ডিরেক্ট কনফ্রন্টেশনের এরিয়া। শেখ হাসিনার রেজিমের পরিবেশের পলিছিগুলাও জুলুমের শাসনের চিনা, তাই দেশের পরিবেশের পলিছিগুলা নিয়াও কাজ করতে হবে।
এই এরিয়া চ্যুজ করার আরেকটা কারন হইলো ‘এন্টি-ন্যাটালিজম’ বা ‘চাইল্ড-ফ্রি’ মুভমেন্ট, যা দাবি করে ‘বাচ্চা জন্ম দেওয়া বা শন্তান নেওয়া অনৈতিক কাজ’ । দুই স্কুলের আতেল গুরুপ এমন এথিকছ প্রমোট করতেছে। এক স্কুলের আতেল গুরুপ ভাবে, যেই দুনিয়ায় মানুশে মানুশে এত খুন-খারাপি, ও ঘেন্নার ছড়াছড়ি এমন ছাফারিং এর দুনিয়ায় বাচ্চা জন্ম দেওয়া বা সন্তান নেওয়া ইথিকালি বেঠিক, যেমন দার্শনিক ডেভিড বেনাটার, (দখিন আফ্রিকার)। দার্শনিক পিটার ওয়েসেল জাপফ কইছে, “নিজেকে জানুন-বাজা হইয়া যান, আর দুনিয়া আপনের পর সাইলেন্ট হইয়া যাক!” । জুলাই আগস্টের খুন খারাপির ভিড়ে আবারো শেই এথিকছের ছবক নিয়া আমাদের শামনে হাজির হইছেন এরা। কিন্তু, এই স্কুলের আতেল গুরুপ কখনো জিগায় না কেনো কিছু লোক ছেরেফ তার ইকোনমিক, রিলিজিয়াছ, কিংবা রেইশিয়াল আইডির কারনে অন্নের থিকা বাড়তি ছাফারিং এ থাকে দুনিয়ায় ? আমার হিশাবে তারা ভিন্ন ভিন্ন ছাফারিং এর ধরন যে ভিন্ন তা যেমন লুকায় তেমনি লুকায় জালিমের পরিচয়। একই লগে, এই স্কুলের আতেলদের কেউ কেউ জন্ম নিয়া কনছেন্টের পোশ্ন তোলে ! অথচ, এরা ভাবেনা যে জন্মই নেয় নাই তার থিকা আবার কনছেন্ট এর পোশ্ন আইতেছেই বা কি কইরা ?
ছেকেন্ড স্কুলের আতেল গুরুপ হইলো পরিবেশবাদীরা, যারা ভাবে পরিবেশের যেই ক্ষতি করছে মানুশ তা আর কোনো পশু পাখি করে নাই। এই স্কুলের কেউ কেউ মনে করে দুনিয়ার পরিবেশ, বন, পশু, পাখি বাচাইতে মানুশের বিলুপ্ত হওয়া দরকার। নিনা পালির শট ফিলিম – থ্যাঙ্ক ইউ ফর নট ব্রিডিং কিংবা এভেঞ্জারছ এর থানোছের ভিতর দিয়া এমন মতামত আমাদের শামনে হাজির হইছে। এই পরিবেশবাদিরা ভুইলা গেছে বা ভুলায়া দিতে চায় ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোছর এর বিলুপ্তি যার কারন আছিলো দুনিয়ার বাইরে থিকা আশা এসটেরয়েড ও মাটির নিচে থাকা ভলকানো (ডেকান ট্রাপ) ফুইলা ফাইপা বাইরে আশা আর ভয়ানক গ্যাসের চাদরে লাখে লাখে খুন হওয়া জন্তু জানোয়ার। আবার তার এই পোশ্ন ও করে না যে দুইশ বছরের উপর ধইরা যেই ফছিল ফুয়েল (কয়লা, গ্যাস, তেল) জ্বালায়া বিজলী পয়দা করতেছে শেই ফছিল ফুয়েল মাটির নিচে এত পরিমানে আশলো কই থিকা?
ফছিল ফুয়েলের কথায় আরেকটা টেরাজিডির দিক মনে পড়লো। পরিবেশবাদিরা ফছিল ফুয়েল জায়ান্টরাদের ফাদে পা দিছে। ফছিল ফুয়েল জায়ান্ট কোম্পানিরা বছরের পর বছর ফছিল ফুয়েল জ্বালায়া দুনিয়ারে গিরিন হাউজ গ্যাসেড় চাদরে ঢাইকা ফেলছে, যার কারণে ক্লাইমেট চেঞ্জ হইতেছে। কিন্তু, মিডিয়া ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তারা আমাদের শেখাচ্ছে যে আমরা যদি ইন্ডিভিজুয়ালি বিজলি বেভার কমাই, তাইলে ক্লাইমেট কেরাইছিস সলভ হবে, আর এভাবেই তারা আমাদের মনে আমাদের ডেইলি লাইফের হেভিট নিয়া গিলটি ফিল করাইতেছে। তারা “কার্বন ফুটপ্রিন্ট” এর মতো ইন্ডিকেটর হাজির কইরা দোশ আমাদের উপর চাপায়া দিতেছে, যাতে আমরা তাদের ঘটানো বিপুল পরিবেশগত ক্ষতির কথা ভুলে যাই। অথচ তারাই গিরিন হাউজ গ্যাসের বড় বড় এমিটার, কিন্তু, তারাই আমাদের পোডাকশন ডিক্টেট করতে চায়।
ফছিল ফুয়েল পোড়ানোর দোশ চাপায় মানুশের উপর কিন্তু এই ‘মানুশ’ কারা? এটা কি গরিব চাশা বা খামারি, না কি শরকার যারা বিজলী কোথায় কি দিয়া পয়দা করা হবে তা কন্টোল করে? নাকি শেই ফছিল ফুয়েল জায়ান্ট কোম্পানিরা যারা তেল, গ্যাস ও কয়লার দখল নিয়ে তাদের উপর থিকা দোশ সরাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে? এমন কোম্পানিগুলোর ক্যাম্পেইন আমাদের এতটাই অপরাধবোধে ফেলে দিছে যে আমরা প্লাস্টিকের বোতল রাস্তায় ফেললে নিজেদের দোশি মনে করি, কিন্তু একবারও প্রশ্ন করি না যে এই ছিংগেল প্লাস্টিকের পোডাক্ট বাজারে আসার অনুমতি পাইলো কিভাবে, বা এর পোডাকশন কেন বন্ধ হয় নাই?
পরিবেশবাদি গুরুপ ‘লেটস ইউনাইট’ এমনকি নিজের ইচ্ছায় মানুশের বিলুপ্তির মতো আইডিয়ার কেম্পেইন চালাইছে, অথচ এই বড় মুছিবতগুলার কোনো সলিউশন নিতা তারা ভাবছে না। চার্চ অফ ইউথেনেশিয়া শ্লোগান দিছে – ‘দুনিয়া বাচান, নিজেরে খুন করুন !’ যাদের মেইন চারটা পাটাতন হইলো গিয়া ছুইসাইড, এবোর্শন, নন রিপ্রোডাক্টিভ সেক্স আর ক্যানিবালিজম ! প্যাট্রিসিয়া ম্যাককরম্যাকের মতো লেখক তার দ্য অ্যাহিউম্যান ম্যানিফেস্টো বইয়ে যুক্তি দিছেন যে পরিবেশের উন্নতির জন্য মানুশ বিলুপ্ত হওয়া দরকার। কিন্তু আশার কথা হইলো, মানুশ এর স্পেছিস আশার আগেও ভিন্ন স্পেছিস এর বিলুপ্তি ও পরিবেশগত কেরাইছিস যে ঘটছে তা এখন মানুশ জানতেছে। ফছিল ফুয়েল জায়ান্টদের মিছা কেম্পেইন এখন মুখোশ খুলছে, মানুশ ক্লাইমেট কেরাইছিস এর দায় কাদের দিতে হবে; চেভরন, এক্সন, বিপি, শেল এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সৌদি আরামকো ও গ্যাজপ্রমের মতো জায়ান্টদের চিনতেছে।
লগে আরো খেয়াল করেন, উত্তরের দেশগুলা (যেমন ইউরোপ) দক্ষিণের দেশগুলারে (যেমন দক্ষিণ এশিয়া) ফছিল ফুয়েল বেভার কমাইতে বলছে, অথচ তাদের নিজেদের বেভারের ইতিহাশ, এমনকি বর্তমানেও বেভার অনেক বেশি। গ্লোবাল সাউথ কলোনির শময় থিকাই গ্লোবাল নরথের ডাম্পিং জোন হইয়া আশছে, যার কারনে আপনে নীল চাশ সাউথ এশিয়ায় জোর কইরা করা হইছে, ডায়িং হাউজ এর কারখানা দুনিয়ার উত্তরের দিকের দেশগুলায় দেখবেন না। আফ্রিকায় বা এশিয়ায় মাইনিং কইরা পরিবেশের খতির ঘটনাগুলা উত্তরের দেশগুলায় দেখা মিলবেনা। কলোনিয়াল পিরিয়ড থিকাই উত্তরের দেশগুলা দক্ষিণের দেশগুলার পরিবেশগত ক্ষতির উপর দাড়ায়া নিজেদের উন্নতি করেছে, একাডেমিয়াতে যা “ক্লাইমেট কলোনিয়ালিজম” নামে পরিচিত। উত্তরের দেশগুলার বছরের পর বছর, কলোনির শময়ে এমনকি কলোনি উত্তর শময়েও এই ধরনের কাজগুলা UN Framework Convention on Climate Change (UNFCCC).এর ফান্ডামেন্টাল প্রিন্সিপালগুলা যেমন ইকুইটির প্রিন্সিপাল কিংবা কমন বাট ডিফারেনশিয়েটেড রেছপনছিবিলিটিজ এর প্রিন্সিপালগুলা ভায়োলেট করে।
প্যারিস চুক্তির মতো আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলা দেশগুলিরে রিনিউয়েবল শক্তিতে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য চাপ দেয়, যখন জলবায়ু অবনতির জন্য মেইনলি রেছপনছিবল দেশগুলারে দায়বদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা তুইলা ধরা দরকার। টেরেডিজি হইলো, দক্ষিণের দেশগুলা তুলনামূলক কম ফছিল ফুয়েল বেভার করলেও ক্লাইমেট কেরাছিস এর কারনে বেশি খতি এই দেশগুলারই হইতে পারে। এটি ক্লাইমেট কলোনিয়ালিজম এর চলমান অবিচার আর জুলুমের চিনা। দেশ রিনিয়েবল এর দিকে হাটা শুরু করছে কেবল, কিন্তু, আমাদের বিজলী ছেক্টর তার কুইক রেন্টাল আর ক্যাপাছিটি চার্জের খেলা এখনো দেখায়ে যাইতেছে, ওদিকে ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলগুলা পোক্ত না কইরা খুচরা খুচরা পেরাইভেট কারখান ক্যাপাছিটি চার্জ দিয়া চালায়া রাখছি আমরা গরমের ছিজনে কিছুদিন এর জন্ন খুবই শামান্ন পরিমান মেগাওয়াটের দোহাইয়ে। গ্লোবাল পুজি এই দেশে ইনভেস্টমেন্ট এর ফলে পরিবেশের, মানুশের ক্ষতি নিয়াও আমরা কনছার্ন তেমন হই না, এইটা এলার্মিং। গ্লোবাল নর্থের করপোরেশন এই দেশে যখন ব্যবসা করতেছে, ইনভেস্ট করেতেছে । তখন পরিবেশের কনছার্নগুলা নিয়া আমাদের অবশই ভাবা দরকার।
এই ক্লাইমেট কেরাইছিস বাড়তেছে ইন্ডিয়ার নদি শাসনে যার ভাপ ইন্ডিয়াশহ দখিন এশিয়ার দেশগুলার উপর পরতেছে। মিঠা পানিরে ঘিরাই নিয়ার ফিউচারে দখিন এশিয়ার বড় রাজনৈতিক ঘটনাগুলা ঘটবে বইলা আমার আন্দাজ। উজান আর ভাটি অঞ্চলের ইকোনমিক ফারাকের চিনাও হইয়া উঠবে এই পানি। বাংলাদেশ ভাটি অঞ্চলের দেশ যার মিঠা পানিরে ঘিরা কান্নার শেষ নাই ইন্ডিয়ার কারনে। মাটির অনেক নিচের থিকা পানি উঠায়া, ব্যারেজ, ও ড্যাম দিয়া নদির পানি আটকায়া আর ভিন্ন দিকে চ্যানেলিং কইরা ইন্ডিয়া আমাদের বহু বছর ধইরাই বিপদে রাখছে। এর ফলে বিশটির সিজনে বন্না আর শুকনো মশুমে খরা দেখা দেয়। দুইদেশের ভিতরে কেবল গঙ্গা নিয়াই চুক্তি হইতে পারছে, যা আবার ফলো করে না ইন্ডিয়া। নেপালের সাথেও ইন্ডিয়ার কমন নদিগুলা নিয়া বিবাদ আছে কারন ইন্ডিয়া একই কাজ নেপালের লগেও করে, মানে বিশটির সিজনে বাধ খুইলা পানি ছাইড়া দেয় আবার শুকনার মশুমে বাধের গেট বন্ধ কইরা দেয়। ইন্ডিয়ার এই জুলুমের কারনে আমাদের দেশে ও নেপালে পলিমাটি নদির মাঝে জইমা দুই নদির নেভিগেবিলিটি হারাইছে, নদির দুই পাড় ভাংছে। এই যে কবর লাস্ট বারের মতন দেখা লাগতেছে, বাড়ি ভাইসা যাইতেছে নদীর পাড় ভাইঙ্গা এইগুলার পিছেও এই নদীর তলায় পলিমাটি জমতে থাকাই অন্যতম কারন । নদী শুকায়ে মরতেছে পানি আটকায়ে রাখার কারনে, মিঠা পানির যোগান পাওয়া যাইতেছে না চাষাবাদে, দক্ষিণে দড়িয়ার লবণাক্ত পানি আরো উজানের দিকে উঠতেছে। এর কারনে বাংলাদেশের দক্ষিণে চাষাবাদের জায়গা কমতেছে, কেননা লবণাক্ত বা বাড়তি নুনের জমিনে চাষাবাদ করা যায় না। নুন সইতে পারে এমন বীজগুলাও ফেইল করতেছে বর্তমানের বাড়তি নুনের জমিনে।
ভাটি অঞ্চলের মানুষ, বিশেষত গরীব মানুষ এই পানির সমস্যায় সবচেয়ে বেশী পড়ছে এবং সামনে আরো পড়বে। বাংলাদেশের দক্ষিণ থিকা মাইগ্রেশন হবে উপরের দিকে। বাংলাদেশের দক্ষিণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নারী এবং শিশু এই পানিরে ঘিরাই। চাষাবাদের আরো মুছিবত আছে। কেমিকেল পেস্টিসাইড, হার্বিসাইড বিপুল বেভার, মনোকালচার পার্মানেট ড্যামেজই করছে আমাদের জমির। লগে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, কলোনীর নয়া ফর্মেটগুলা খাবার আর সুস্থ থাকার নিরাপত্তার কথা কইয়া দক্ষিণের দেশগুলায়, আফ্রিকাতেও খাদ্য নিরাপত্তার বারোটা বাজাবে, দেশীয় পেরাণ পরিবেশ এর বারোটা বাজাবে। এই দুশমনের লিশটে আছে দুনিয়ার উত্তর থিকা পারমিট পাওয়া দক্ষিণের দেশগুলার মারডারাস স্যাডিস্ট গভমেন্টগুলা যারা ইজারা লইছে খুনের, এগ্রি ফার্মাসিউটিক্যালস করপোরেশন ইত্যাদি।
এত কিছুর পর আমাদের তাই নিজেদের নিয়া ভাবতে বইতে হবে। নদির পানির হিছছা আমার দরকারের শময় বুইঝা নিত হবে ইন্ডিয়ার থিকা। শেইটা কোনভাবে হইতে পারে? আমরা কি নেপালের লগেও স্ট্রাটেজিক কারনে একজোট হইয়া কাজ করবো কি না ইন্টারনেশনাল প্লাটফর্মগুলায় শেইটা নিয়া কাজ শুরু করতে হবে। ইন্ডিয়া বাধ খুইলা দেয় তা আজকের ঘটনা না, ইন্ডিয়ার নির্দিষ্ট টাইমে এই কাজটা করে, এইটা আমাদের নদি নিয়া যারা কাজ করে তাদের জানা উচিত ছিলো। আমরা বন্নার শময়ে তাই কেমনে চ্যানেলিং কইরা বাড়তি পানি জমাইয়া শুকনার মওশুমে বেভার করতে পারি তা আমাদের ভাবতে হবে। ইন্ডিয়ারে দায়বদ্ধ করতে হবে ইণ্টারনেশনাল প্লাটফর্মে।
জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোকে তাদের কাজের জন্ন দায়বদ্ধ করতে হবে। চেভরন আর এক্সন-এর মতো কোম্পানিগুলো ক্লাইমেট ক্ষতির প্রকৃত মাত্রা আড়াল করছে। বহুজাতিক কোম্পানির কর্পোরেট পরিবেশগত দায়বদ্ধতা লঙ্ঘন করেছে, যেমনটা ওইসিডি মাল্টিন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হইছে । ‘ক্লাইমেট মামলা’ একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে উঠে আসছে যা এই কর্পোরেশনগুলিকে দায়বদ্ধ করার প্রক্রিয়াও শুরু করছে। যেমন, নেদারল্যান্ডজে শেলের বিরুদ্ধে একটা মামলায় কোম্পানিটিকে প্যারিস চুক্তির সাথে সঙ্গতি রেখে তার কার্বন নির্গমন কমাতে ফোর্স করা হইছে। পাশাপাশি আমাদের অবশ্যই পরিবেশগত ন্যায়বিচারের বিষয়টি সরাসরি মোকাবিলা করতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদের শোষণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি নিরাপদ পরিবেশ থেকে বঞ্চিত করছে, যা ইন্টার জেনারেশনাল ন্যায়বিচার এর প্রশ্ন আসে। এগুলা বিবেচনায় নিতে হবে। চাশের জমি, ওয়েটল্যান্ড, ফরেস্ট ল্যান্ড, নেচারাল পরিবেশ এলাকাগুলা উন্নয়ন পোজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য একোয়ার করা হয়া থাকে আর এসব জমির উপর নির্ভরশীল মানুষ, বিশেষ করে ছোট চাশা, জেলে, লবণচাষী, বনের লেবার, ছোট ব্যবসায়ী, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তাদের স্থানীয় জমি ও জীবিকা থেকে উচ্ছেদ করা হয়ে থাকে। এই প্রাক্টিছগুলা থিকা বাইর হইতে হবে যদি আমরা রিয়ালি চাই শেখ হাসিনা এর রেজিম থিকা বাইর হইতে।
আর তাই গ্লোবাল পুজির ইনভেস্টমেন্ট, জ্বালানির খাতে ইনভেন্সটমেন্ট জনগন জানতে চাইলে জানাইতে দিতে হবে রাইট টু ইনফরমেশনে এর জন্ন। কোনো প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের নায্য আর ফুল সম্মতি ছাড়া অনুমোদিত বা বাস্তবায়িত হইতে দেওয়া যাবে না। তার মানে জনগনের ‘ফ্রি প্রাইরর ইনফর্মড কনছেন্ট’ দেওয়া দরকার।