১.
একটা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিমের পতন ঘটলো এবং আমরা ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী যুগে প্রবেশ করলাম— যেখানে সবাই নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু লক্ষ্যণীয় যে, বৈপ্লবিক কোনো পরিবর্তন আসলো না। যেমন, অন্তবর্তী সরকার গঠনের মাত্র দুদিনের মাথায় ডিবি পরিচয়ে মানুষকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আবার যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতারকৃত মানুষের পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। দেখা যাচ্ছে, ফ্যাসিবাদী আমলের ঘটনাগুলো এখনও চর্চিত হচ্ছে। বিপ্লবোত্তর কোনো দেশে এমনটা ঘটতে পারে না। তাই বলা যায়, এখানে কোনো বিপ্লব হয়নি। আর এ বিষয়টি শুরুতে পরিষ্কার করে নেওয়াটা এ কারণে প্রয়োজন বোধ করছি যে, যাতে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশের ব্যাপারে আমার সীমাবদ্ধতা বুঝতে সুবিধা হয়। তবে বিপ্লব না হলেও আরও কিছু ঘটনা হয়তো ভিন্নভাবে ঘটতে পারতো বা আমরা ঘটাতে পারতাম। যেমন, আমি আশা করেছিলাম, অন্তবর্তী সরকার গঠনের সাথে সাথে পূর্ববর্তী রেজিমের সকল ফ্যাসিবাদী চিহ্ন রাষ্ট্রীয় মদদে নিশ্চিহ্ন করা হবে। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এসবের কিছুই করা হয়নি। সরকারি অফিসগুলোতে আমরা দেখলাম, শুধু হাসিনার ছবি অপসারণ হয়েছে; শেখ মুজিব এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। যার ফলে দুইটা ঘটনা ঘটতে পারে— প্রথমটি হলো, বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এ ছবির স্থলাভিষিক্ত হবেন জিয়াউর রহমান। ফলে, বিএনপির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের যে অভিযোগ কিংবা অপবাদ— শেখ মুজিবকে ইতিহাস থেকে নাই করে দিতে চায় দলটি— সেটা আবারও ফিরে আসার সুযোগ থাকলো। অথচ অন্তবর্তী সরকার এ সমস্যাটার সুন্দর একটি সমাধান করে দিতে পারতেন। দ্বিতীয়টি হলো, আমরা দীর্ঘদিন ধরে যা দেখে এসেছি, এখানে ছবি মাত্রই পূজনীয় কিছু। চাইলে এ জিনিসটা চিরতরে ভেঙে দেওয়া যেতো। কারণ এ ভার্স্কয, ছবি বা চেতনাসমূই একসময় ফ্যাসিবাদ তৈরি করে; তারা খোদা হয়ে উঠতে চায়। তাই হাসিনা সরকারকে ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে শক্তভাবে সহায়তা করা এ ফ্যাসিবাদী-উপাদানগুলোকে গুঁড়িয়ে দেওয়া দরকার ছিলো। প্রয়োজনে ইতিহাস সংরক্ষণের দরকারে সেগুলো পুনরায় স্থাপন করতো বাংলাদেশ সরকার, সেটা পরের বিষয়। এখনও খুব বেশি দেরি হয়নি, চাইলে হয়তো এ বিষয়ে সরকার উদ্যোগী হতে পারেন।
২.
বিপ্লব না হলেও ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী যুগে নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি। কিন্তু শুরু থেকে দেখা গেলো, মব লিঞ্চিং নামে অবিচার এ পথে প্রধান অন্তরায়। একটু তলিয়ে দেখলে দেখা যাবে, ‘মব জাস্টিস’ মূলত আওয়ামীলীগের বিচারহীনতার সংস্কৃতির অংশ। আওয়ামীলীগের ক্লিন ইমেজের নেতা খ্যাত আবদুল হামিদকে একদা বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বলতে শোনা যায়, ‘খাদ্য ভেজালকারীকে গণপিটুনি দিতে হবে’। সে-সময়ে দেশে আইনের শাসন ছিলো না। যার ফলে এ ধরণের ঘটনার জরুরত অনুভব করেছিলো একটি ব্যর্থ সরকারের রাষ্ট্রপতি, যা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া যায় যে, ব্যর্থতা এড়াতে চাইলে যেকোনো সরকারকে এ ‘মব জাস্টিস’ বন্ধে তৎপর হতে হবে।
মব লিঞ্চিং বা এক্সট্রাজুডিশিয়াল ক্লিনিং-এর ঘটনাগুলোর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এতে ‘মানবিক মর্যাদা’ বা হিউম্যান ডিগনিটি সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও ভয়াবহভাবে ক্ষুণ্ণ হয়। নতুন বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে মানবিক মর্যাদার উপর ভিত্তি করে। এ দাবি মোটেও বাড়াবাড়ি কিছু নয়। মানবাধিকারের সর্বজন স্বীকৃত ঘোষণার প্রথম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সকল মানুষ জন্মগতভাবে সমান মানবিক মর্যাদার অধিকারী। কাজে, রাষ্ট্র এটা ক্ষুণ্ণ হতে দিতে পারবে না। প্যারামিলিটারি ধরনের যে বাহিনীগুলো দেশে বলবৎ আছে, যাদের কাছে মোটামুটি এক ধরণের মানুষ হত্যার বৈধতা আছে— যেমন র্যাব— এদেরকে অনতিবিলম্বে তাই ডিজলভ করতে হবে।
রাষ্ট্রকে ‘প্রোগ্রেসিভ রিয়ালাইজেশনে’র দিকে যাইতে হবে। এটা একটা পশ্চিমা টার্ম, কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য উপযোগী। এর মানে হলো, রাষ্ট্র তার সর্বোচ্চ রিসোর্স বা সম্পদের ব্যবহার করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে জনসাধারণের অধিকারগুলো নিশ্চিত করবে এবং জনগণকে সচেতন করে তুলবে। যেহেতু আমাদের এখানে রিসোর্সের অভাবে সকল ধরণের অধিকার সরবরাহ রাষ্ট্রের পক্ষে দুঃসাধ্য বটে, তাই রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সরকার রাষ্ট্রীয় সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে জনগণের অধিকারে নিশ্চিতে।
তাছাড়া অধিকার ও অপরাধ প্রসঙ্গে জনগণকে সচেতন করে তোলার সামাজিক আন্দোলনগুলোকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যেমন, মানুষ যাতে বুঝতে পারে, মব লিঞ্চিং মানবতাবিরোধী অপরাধ— এটা রাষ্ট্র ও তার সরকারকে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে।
৩.
ফরেন পলিসি বা বৈদেশিক নীতির সংস্কার আমাদের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একদম প্রাথমিক পাঠ হলো, একটা দেশের বৈদেশিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে মূলত জাতীয় স্বার্থের উপর ভিত্তি করে। তাই এ নীতি জাতীয় স্বার্থের উপর নির্ভরশীল এবং সর্বদা পরিবর্তনশীল। রাষ্ট্রের কোনো স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু হতে পারে না। কাজে, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’ ধরণের মান্ধাতা আমলের বৈদেশিক নীতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। বৈশ্বিক শক্তি যেমন আমেরিকা, রাশিয়া, চীন ও ভারতকে মোকাবেলা করার পন্থাগুলো স্পষ্ট হতে হবে। বিশেষ করে ভারত আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র, এ অঞ্চলের পরাশক্তি ও একটি সম্ভাবনাময়ী বৈশ্বিক পরাশক্তি। কাজে, ভারত প্রশ্নটা আমাদের আলাদাভাবে সমাধান করতে হবে। তবে ভারতসহ সকল দেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে ‘রিসিপ্রোকাল’ নীতির ভিত্তিতে, যেখানে উভয়পক্ষ লাভবান থাকবে এবং শুধু ও কেবলমাত্র জায়গা পাবে জাতীয় স্বার্থ।
অন্তবর্তী সরকার গঠনের কিছুদিনের মধ্যে ‘জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া থেকে সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে’ বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে, এটা নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী একটি ঘটনা। জাতিসংঘের এ জাতীয় অন্যান্য সনদসমূহে বাংলাদেশকে দ্রুত স্বাক্ষর করতে হবে, যাতে জনগণের অধিকারগুলোর খর্ব হলে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে জবাবদিহির আওতায় থাকে।
৪.
গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে সংবিধান সংস্কার তরুণ-প্রবীণ সকলের ভাবনা ও আলোচনার একটি মূল বিষয়। তবে সকলে সংবিধান সংশোধন বা বাতিলের কথা বললেও, দুই একজন বুদ্ধিজীবী ছাড়া, তাদের বড় অংশের সংবিধান ধারণাটাই অস্পষ্ট, ফলে কোনো রূপরেখাও নেই কারো— না বুদ্ধিজীবীদের, না অ্যাকাডেমিশিয়ানদের, না রাজনৈতিক দলগুলোর, না গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বিপ্লবীদের। সবারই এক ধরণের প্রস্তুতিহীনতা চোখে পড়ার মতো ঘটনা। যেন আমরা ভাবিনি, এত তাড়াতাড়ি হাসিনা পালাতে পারেন আর আমাদের নতুন করে সংবিধান লেখার প্রয়োজন পড়তে পারে! আবার এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারতেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ উপদেষ্টা হয়ে সরকারের অংশ হওয়ার জন্য কদর্য দৌড়াদৌড়ি করতেও দেখলাম; তাদের অন্যান্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়াটা আমাদের জন্য মাইনাস পয়েন্টই বলা যায়।
তবে সংবিধান সংস্কার না পুনর্লিখন বিষয়ে গত কিছুদিনের বুদ্ধিজীবীদের আলাপ-আলোচনাগুলো দেখে ও পড়ে এবং নিজের বিবেচনায় আমার মনে হলো যে, নতুন সংবিধান এডপ্ট করাটা অধিক যুক্তিযুক্ত। কোনো অবস্থাতেই বাহাত্তরের সংবিধানের কাছে ফেরত যাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই। নতুন সংবিধান নয়া-বাংলাদেশের জনাকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারতে হবে আর এটা কোনোভাবেই একটি দল বা এক পক্ষের অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা যাবে না, যে ভুল বাহাত্তরে হয়েছে। নতুন সংবিধান প্রনয়ণের ব্যাপারে বিগত দেড় দশকে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা সকল রাজনৈতিক দলকে এক টেবিলে বসতে হবে এবং তা বিএনপির নেতৃত্বে হওয়াটা বাঞ্চনীয়। এ কাজ কীভাবে করা যেতে পারে, সে-আলাপ আমাদের বুদ্ধিজীবীগণ নিশ্চয় করবেন, এবং তা যত দ্রুত সম্ভব। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, আমাদের সময় একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি।
৫.
জুলাই প্রশ্নের সমাধান আমাদের জন্য অনিবার্য। নতুন বাংলাদেশটা দাঁড়িয়ে আছে জুলাই গণ-আন্দোলনের উপর ভিত্তি করে। রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের প্রথম ভিত্তি ছিলো মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু তখনও দেখেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নের কোনো সঠিক সমাধান হয়নি। যার ফলে দেখা গেলো, সেসময়েও অপরাধীদের সঠিক বিচার এবং আহতদের সঠিক চিকিৎসা না হলেও এক ধরণের চেতনা ঠিকই দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো, যার ষোল আনা ফলভোগী ছিলো আওয়ামীলীগ। তাদের গণক্ষমার ফলে জামাতকে কোনোভাবে বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি। উলটা দেখা গেলো, ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধের নামে তাদেরকে নিষিদ্ধ করে রাজনৈতিক টুল হিসেবে ব্যবহার করা হলো, যার উপর ভিত্তি করে একটা শাহবাগ হতেও আমরা দেখলাম। একই ভুল বাংলাদেশ রাষ্ট্র দ্বিতীয়বার করে, দ্বিতীয় কোনো শাহবাগ গড়ে ওঠার সুযোগ রেখে, আবারও অন্ধকারে তলিয়ে যাবে, এটা আমরা ভাবতে পারি না। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ক্ষত দগদগে থাকতে থাকতেই আমরা ‘ক্ষমা করে দেওয়া’র সে-পুরনো সুর শুনতে পেলাম। আওয়ামীলীগকে যথাযথভাবে বিচারের মুখোমুখি করা না গেলে জুলাই প্রশ্নটা থেকেই যাবে এবং একে কেন্দ্র করে নতুন ধরণের চেতনা এবং আবারও ফ্যাসিবাদের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। চেতনামাত্রই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার সম্ভাবনা থাকে— সেটা মুক্তিযুদ্ধের নামে হোক বা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নামে হোক— শুরুতে যা আলোচনা করেছিলাম। তাই শেখ মুজিব বা মাহফুজ আলম কিংবা আবু সাঈদ— কারো ছবি বা ভাষ্কর্যই যাতে কোনোভাবে স্রেফ ইতিহাস রক্ষার বাইরে না যায়, কখনও পূজনীয় বা খোদা হয়ে না উঠতে না চায় কিংবা ‘শহিদ বেদিতে জুতা নিয়ে ওঠা নিষেধ’ ধরণের অলিখিত অথচ অলঙ্ঘনীয় আইন হয়ে উঠতে না পারে, সেদিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে জুলাই প্রশ্ন সমাধানের মাধ্যমে। আর শুরু থেকে আমাদের দাবি ছিলো তাই দুইটাই, আহতদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং জুলাই গণহত্যার সঠিক বিচার দ্রুততম সময়ে শেষ করা।
৬.
আমাদের এখানের সব আন্দোলনেই যে মানুষগুলো অবধারিতভাবে রক্ত দিয়ে এসেছে, তারা হলেন শ্রমিক, কৃষক, দিনমজুর সকল পেশার মেহনতি মানুষগণ, যারা আর্থিকভাবে নিম্নশ্রেণির। অথচ তাদের মানবেতর জীবনের কোনো অবসান হয়নি; এমনকি ন্যূনতম উন্নতিও হয়নি। অন্তত উন্নতিকরণের চেষ্টাটা দৃশ্যমান হওয়াটা জরুরি। এখানের চা শ্রমিকদের অমানবীয় জীবনযাপনের পরিসমাপ্তি না হলে নতুন বাংলাদেশের সাথে আওয়ামীলীগের পুকুরচুরি ও দুর্বৃত্তায়নের দিনগুলোর মোটাদাগে কোনো পার্থক্য দেশের মানুষ খুঁজে পাবে না। তাই রাষ্ট্র ও এর সরকারকে অংশীজনদের সাথে কথা বলে এ বিষয়গুলোতে দ্রুত সমাধানের পথগুলো খুঁজতে হবে; অন্তত চেষ্টাটুকু দৃশ্যমান রাখতে হবে।
৭.
সব ছাপিয়ে কিছু ব্যাপার এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। যেমন, আগের মতো এখনও আমরা ‘ডিজিএফআই’ বা ‘আয়নাঘর’ শব্দগুলো যথেষ্ট ভয়ে ভয়ে উচ্চারণ করি। আমরা এখনও আশঙ্কা করছি, আয়নাঘরের কুশলীবদের পরিচয় জানতে চাইলে আমাদের উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারে কিনা। এখনও মনে হয়, মাথার উপর খড়গ হয়ে ঘুরছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। অন্তবর্তী সরকার গঠনের কয়েকদিনের মাথায় জরুরি ভিত্তিতে শেখ মুজিবের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার আইন বাতিলের প্রস্তাব এসেছিলো। সরকারের উপদেষ্টাগণ নিজেদের বাঁচাতে এ আইনের ভয়াবহতা টের পেয়েছিলো শুরুতে। আমরা চাই, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো ভয়ঙ্কর আইনগুলোও যে আমাদের জন্য একই ধরণের ভয়াবহ এবং এরকম জরুরি ভিত্তিতে এগুলোর বাতিল জরুরি, এটুক যাতে সরকারের উপদেষ্টাগণ বুঝতে পারেন। এতে হয়তো আমরা অন্তত কিছুটা কম উদ্বেগে আফটারফ্যাসিস্ট ডটকমে আরও আরও কথা লেখে যাইতে পারবো।