বদল কেমনে ঘটাইবেন? বদল কেমনে ঘটে বইলা আপনার মনে হয়? দুর্নীতি দমন বুরো ছিল আগে, বহুদিন শুইনা আসছি বুরো থেকা কমিশন হইলে দুর্নিতির অর্ধেক শমেশ্যা নাই হয়ে যাবে। তারপর অনেকদিন শুনলাম বিচার বিভাগ শাধিন হইলেই হবে। বিচার বিভাগরে তাই নির্বাহি বিভাগ হইতে জুদা কইরা ফেলতে হবে। তাও হইছে। তারপর বিচার বিভাগ কতখানি শাধিন হইলো? এখন এইরকম কিছু আইডিয়া আমরা শুনতেছি। শুধু এখন না, অনেক বছর আগে হইতেই। যে দুইটা কক্ষ থাকবে শংশদে, শংবিধান বদলাইতে হইবে, নুতন শংবিধানের বদল কঠিন বানায় ফেলতে হইবে, বা, শংবিধানরে মুছাবিদা কওয়া ভালো, মজহারপন্থি বিপ্লবিরা কইতে চায় গঠনতন্ত্র, সর্বোপরি রাষ্ট্রের শংষ্কার কইরা ফেলতে হবে।
বদলের নানান বুদ্ধি পরামর্শ বাতাশে ঘুরতেছে। ঘোরাই উচিত। কিন্তু বুনিয়াদি বদলের খন আছে কিছু। ওইশব খনেই কেবল ফরমাল বদলের ভেতর দিয়া বাস্তব বদল তৈরি হইতে পারে। যেমন নতুন একখান দেশ শাধিন হইলে, কিম্বা, কোন বিপ্লব ঘটলে (কমিউনিষ্ট, এনার্কিষ্ট, ইছলামিষ্ট, মিলিটারি কু)। ওই খন মিছ বা মিছইউজ হইলে(বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একাত্তর) বা না আশলে(ইছলামিষ্ট/কমিউনিষ্ট) বদল ফরমালাইজ করলেই হয় না, লগে বদলের ইছপিরিটরেও সার্বক্ষনিক তাজা রাখতে হয়। তখন জাস্ট ‘খন’ দিয়া হয় না, ‘সর্বক্ষন’ লাগে। তখন জাস্ট শদানুষ্ঠান দিয়া চলবে না, শদিচ্ছারে চালু করতে হবে। শদিচ্ছা বা ইছপিরিটের জাদুরে বাস্তবে ঘটাইতে জেই শার্বক্ষনিক ফুয়েল লাগবে, শেই ফুয়েল দিবে পলিটিক্স। অর্থাত আমি পলিটিকাল শদিচ্ছার কথাই কইতেছি।
বিচার বিভাগ শাধিন হইয়াও কেন হাটিয়া চলিলো? কারন উকিল জাজদের ভেতর যে দুইটা ভাগ তারা তো নিবেদিত পেরান! এরা শাধিনতা দিয়া করবেটা কি? বিজনেছের একটা রুল তো বানাইয়াই নিছে এরা। এই রকম শবখানে আছে। এখন আপনি শংশদে দুইটা রুম বানাইলেন, তাতে কি হইবে? স্ট্রিমলাইনড ট্রেডিশনে দুইটা রুম কি আদো কোন কনফ্লিক্ট তৈরি করতে পারবে? হইলে, সেইটা তো লোকাল গবর্মেন্টের ইলেকশনগুলাতেই হইতে পারত!
এখন এগুলার ছলুশন তো লোকে দিছেই। যেমন, শংশদের যেই দুইখান রুম থাকবে, তার একটায়(উপরেরটায়) দলভিত্তিক আশন বরাদ্দ থাকবে। তাতে টেনশন হবে অনেক, ডেমোক্রেছি হবে গোল্লা। ছলুশন হিশাবে এগুলি ভুয়া। ডেমোক্রেছির জন্য যে আপরাইজিং, শংষ্কারের পর শেই ডেমোক্রেছিরে অবান্তর বানানোর পায়তারারে কেন মানবেন?
আবার আরেকটা আছে, শংশদের উপরের রুমে কমিউনিটি বা রিলিজিয়ন বা জেন্ডার বেজড ছিট রাখা। এখন শবগুলা ছিটরেই ভাগ করা হইলে নেশনাল ইউনিটি নাই হইয়া গিয়া এক ধরনের লেবানন কেরাইছিছ তৈরি হইতে পারে। আর জেন্ডার বেজড ছিট রিজার্ভেশন অলরেডি দেশে আছে। তবে এইটা দলগুলারে ইলেকশনে মেইন কম্পিটিশনে মাইয়াদের টিকেট না দেয়ার অজুহাত বানাইয়া দেয়।
মানে আমি কইতে চাইতেছি, পলিটিকাল শদিচ্ছা জিনিশটা দরকার। এইটারে পাশ কাটাইতে পারে এমন কোন ফর্মুলা না বাইর করাই ভালো। আমাদের কেরাইছিছটা শদিচ্ছার শমেশ্যা, মূলত। এইটা মাইনা নিলে বদলের ইছপিরিটরে শার্বক্ষনিক তাজা রাখার জরুরতটা ফিল হইবে।
এখন মেকানিকাল/ফরমাল মেরামত যে অদরকারি তা না। কিন্তু এই মেরামতের ফিলোছফিরে বাস্তব করতে হইলে বদলের ইছপিরিটরে ধারন করতে হবে। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর এইরকম একটা পয়েন্টে আমরা আইসা দারাইছি জেইখানে আমরা আবার বিশশাশ করতে পারি যে বদল শম্ভব। নব্বই হইতে চব্বিশ আলাদা। নব্বইয়ের অভ্যুত্থান পার্টি মোটিভেটেড, কৌশলগত, মোর্চাভিত্তিক সংগ্রাম। চব্বিশের ব্যানার নাই। কৌশল যদি বলেন, এইটাও কৌশল। কিন্তু ধরনটা ধর্তব্য। ফলে এর ইউনিভার্ছাল আবেদন আছে জনপরিশরে। নব্বুইয়ের পর যে কারনে মেরামত হয়নাই, চব্বিশের পর শেই কারনগুলা কিছুটা অনুপস্থিত আছে। দলিয় শার্থরে এখন প্রধান কইরা তোলা শহজ হবে না। এখন কাজ হইলো এই পরিস্থিতিরে শার্বক্ষনিক কইরা তোলা। আমাদের বোঝা দরকার চব্বিশে কোন ‘শাধিনতা’ জুদ্ধ ঘটেনাই, এবং কোন বিপ্লবও শংঘটিত হয়নাই। কিন্তু চব্বিশে জা ঘটছে তা ওগুলির কম বা বেশি না, বলতে চাইতেছি চব্বিশ ওগুলির শাথে তুলনীয়ই না। এটা বোঝা দরকার জাতে আমরা এখনের উপজুক্ত কর্মপন্থা কি হবে তা ঠিক ঠিক শাব্বস্ত করতে পারি। চব্বিশ যেহেতু নতুন দেশ ঘটায়নাই(বরং নতুন দেশ নির্মান করতে চাইছে), এবং জেহুতু কোন কাস্ত্রো আইসা পুরা শাশন কার্জক্রমের আমুল বদল ঘটায়নাই, ফলে মেকানিকাল মেরামতের টেরেন চালাই দিলেই হবে না। টেরেনের লাইন পুরানাই। আর লাইন ঠিক করার কাম ধরতে হইলে এখন যে ‘ইচ্ছা’রে কায়েম করতে হবে, শেইটা পলিটিকাল পার্টি ধইরাই করতে হবে। শেইক্ষেত্রে আগের ফেছিবাদি বয়ানের সারাংশ— আওয়ামী লীগ, বিএনপি একই, এই ধরনের রেটোরিক ফালায়ে দিতে হবে। মাহফুজ আনাম অলরেডি আবার বিএনপি আওয়ামী লীগের বাইরে গিয়ে ভাবতে কইতেছে ইন্ডিয়ান এক চ্যানেলের ইন্টারভিউতে। এগুলি চব্বিশরে ব্যর্থ করার আলাপ। আওয়ামি লিগ অলরেডি ফেছিস্ট, এবং পলিটিকাল শদিচ্ছা কায়েম না হইলে বিএনপিও ফেছিস্ট হইতে পারে ট্রু কিন্তু বিএনপি ফেছিস্ট না এখনও। যে জা না তার উপর তা আরোপ করা ফেছিবাদি শয়তানি বৈ কিছু না। বামেরা এই কাজ করছে, এখন শমন্নয়কেরা করতেছে। এইটারে আমি কই পলিটিক্সে মাইনোরিটি রিপোর্ট প্রবলেম। মাইনোরিটি রিপোর্ট মুভিটাতে যেমন অপরাধের আগেই অপরাধিরে শনাক্ত করার কথা আছে, বাস্তবে এমন ডিছাইছিভ অনুমান দস্তুরমাফিক ফেছিবাদি ঘটনা। বামেরা এই কাম শুধু যে বিএনপিরে নিয়া করছে তা না, জারাই বিএনপির পলিটিক্সরে আওয়ামি লিগের পন্থা হইতে আলগা কইরা বুঝতে চাইছে তাদের শকলের এগেইনস্টেই এমন ডিছাইছিভ অনুমান করতে চাইছে। এখন শমন্নয়কেরা শেই ব্যাটন হাতে তুইলা নিছে। এমনি বিএনপি আর আওয়ামি লিগের পলিটিক্সে স্থানিয় পর্যায়ে এক রকম ছিমিলারিটি তো আছেই। ক্ষমতাভিত্তিক মবফর্মেশনের এই শাজুজ্য এরানোর কিছু নাই। শমাজের ভেতরে তার ননএক্সক্লুছিভ শাভাবিক এছিমিলেশন আছে। এরে শামাজিক পর্জায়ের ফেছিজমও বলা জায়। তবে পলিটিকাল ফেছিজমের ব্যাপারে যে ট্রিটমেন্ট তা দিয়া ছোশাল ফেছিজমরে শামলাইলে চলবে না। এর দায় রাজনৈতিক দলগুলিরে বিচ্ছিন্নভাবে দিলে চলেনা। এগুলা অনেক ক্ষেত্রেই লোক-ইনছাফ বেবস্থার অংশ। জনগনই ক্ষমতাসিনদের জাবতিয় কায়কির্তির শায়েস্তা করতে, জারা শায়েস্তা করতে পারঙ্গম তাদের ম্যান্ডেট দিয়া ক্ষমতায় আনে। এইটার কারনে আওয়ামি লিগ ফেছিস্ট না(আওয়ামি লিগ ফেছিস্ট অন্য কারনে)। এর কারনে বিএনপিরেও ফেছিস্ট কওয়া জায়না। এখন এই শব জিনিশ কি দূর করতে হবে না? এগুলি দূর করার জন্যও শদিচ্ছা পয়দা করতে হবে। বরং বোঝা দরকার দেশে বিএনপি কিছিমের একটা দল থাকার দরুন ছেকুলার-ইছলামিস্ট বাইনারি হইতে মুক্তি পাইতে পারে। এই ব্যাপারে রক মনুর একটা মত হইলো দেশের অনেক লোক ছেরেফ বিএনপি করে বইলা ইছলামিস্ট হইয়া যায়নাই। এইটার শাথে আমি একমত। এমনি পলিটিকাল শদিচ্ছা প্রস্তুত না করতে পারলে শুধু বিএনপি ক্যান, বাম ডান মধ্য জারাই পাওয়ারে আশবে ফেছিবাদি চিনাগুলিই আপ্নাইতে থাকবে।
শমন্নয়কদের লক্ষ করতে পারি আমরা। আমি বেক্তিগতভাবে মনে করি ছাত্র জনতার ভেতর থিকা নতুন পলিটিকাল পার্টি ফর্মেশন হইতে পারে পলিটিকাল শদিচ্ছা কায়েমে একটা ইম্পর্টেন্ট ধাপ। উনারা শেইটা করতে চানও। রিছেন্ট উনাদের নরাচরায় জেইটা মালুম হইতেছে। কিন্তু পলিটিক্সে উনারা ফিরি পাশ চান। অলরেডি প্রোটোকল নিয়া শভা শমাবেশ করতেছেন দেখা যায়। ক্যাম্পাছ থেকে পলিটিক্স দূর করার কথা কইয়া ক্যাম্পাছে নিজেদের আধিপত্য তৈরি করতেছেন। নিজেরা পলিটিকাল পার্টি ফর্ম করার নিয়ত নিয়া এই কাজ করলে চলবে না। পোস্ট ইডিওলজিকাল পলিটির অজুহাতে আদর্শভিত্তিক শংগঠনগুলিরে কোনঠাশা করতে চাওয়া আল্টিমেটলি একটা মতাদর্শিক চাওয়াই। আমরাই মতাদর্শিক অবস্থানের পার্টিগুলিরে ক্রিটিক করছি এশবের ভেতরকার ফেছিস্ট প্রবলেমগুলি শনাক্ত কইরা। কিন্তু মনে রাখা দরকার, শাধারন অর্থে ইডিওলজির বাইরে কোন অবস্থান পাওয়া যাবে না। আপনি নতুন জেই অবস্থানেই জান না কেন তারে ইডিওলজিকাল কোঅর্ডিনেটসের নিরিখে বিচার করা শম্ভব। আমরা যখন ইডিওলজিকাল অবস্থানের বিপক্ষে জাওয়ার কথা বলি, শেইটা বলি ইডিওলজির খুবই বিশেশ একটা অর্থরে ইঙ্গিত কইরা(একটা পরিভাশা হিশাবে); একটা মেটা মিনিংরে ইঙ্গিত কইরা। পোস্ট ইডিওলজির কথা কইয়া যখন আর শকল দলগুলির এগেইনস্টে মেটা নেরেটিভ চালু হইতে চায়, তখন শেইটাও একটা ক্ষতিকর ইডিওলজিরই ইঙ্গিতবাহি। এমনি আদর্শভিত্তিক রাজনিতির তেমন শমশ্যা নাই, যদি তা ডেমোক্রেটিক ভেলুবেবস্থারে ছমঝে চলতে পারে।
তাইলে যখন আমরা বুঝতে পারলাম, পলিটিকাল শদিচ্ছার দিকে আলাদা কইরা নজর দিতে কইতেছি, শেই শদিচ্ছারে তলব করতে কি প্রপোজ করতে চাইতেছি আশলে?
প্রথমত, এক রকম ছিস্টেমিক, মেকানিকাল মেরামত যে দরকার তা মাইনা নিতেছি, বইলাই তা কিভাবে পালন হইতে পারে তার জন্য শদিচ্ছারে তলব করতে চাইতেছি। আমার পর্জবেক্ষন বলে, এই শদিচ্ছা বাংলাদেশের পূর্বেকার গনতান্ত্রিক আমলগুলাতে যে অনুপস্থিত ছিল, তা ছিলো কার্জকর বিরোধিপক্ষের শংশদিয় এবছেন্সের কারনে। অর্থাত, বিরোধিরা শংশদে টানা তর্ক করতে অনুৎশাহি ছিল। টেনাছিটির অভাব ছিল। কথায় কথায় ওয়াকআউট করতো। এবং শমস্ত কৌশলগত এনার্জি রাজপথে, হরতাল অবরোধ বাস্তবায়নে ব্যয় করতো। ফলে ছিস্টেমিক মেরামতের একটা বড়ো উদ্দেশ্য হইতে হবে জেন তা শংশদে ক্ষমতাশিনদের এগেইনস্টে প্রেশার ছিষ্টিকারি তর্করে ফেছিলিটেট করতে পারে। এবং শংশদের বাইরের তর্কগুলিরে আমলে আনার মেকানিজমও গৃহিত ও রক্ষিত হয়। এর ফলে কোন পরিবর্তন জাস্ট কাগজে কলমে রইয়া জাইতে পারবেনা। বরং ধারাবাহিক ফলাবর্তনের পরিবেশ তৈরি হবে।
দিতিয়ত, জুলাই অভ্যুত্থানরে ঠিকঠাক মত বুঝতে পারতে হবে। এইটা কোন বিপ্লব যে না এইটাই এটার শক্তির জায়গা। বিপ্লব পরবর্তিকালে শবকিছু ঢালাওভাবে তৈরি যেমন হইতে পারে, তেমন শেইশব ‘নতুন’এর ভেতর দিয়া একপাক্ষিক খামখেয়ালিময় আদর্শিক বেবস্থাও কায়েম হইতে পারে। জুলাইয়ের অভ্যুত্থান কোন আদর্শিক বিপ্লব না, আবার যে কোন অভ্যুত্থানই এক রকম গনতান্ত্রিক বিপ্লব বটে। ফলে গনতান্ত্রিক একটা আকাঙ্ক্ষার জায়গা তৈরি হইছে, জা আবার নব্বুইয়ের অভ্যুত্থান হইতে মৌলিকভাবে আলাদা। অর্থাৎ পার্টিগত মোর্চার ভেতর দিয়া এই অভ্যুত্থান শংঘটিত হয়নাই। ফলে পার্টিগুলিও জনগনের তীব্র আকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে শজাগ হইতে বাধ্য থাকার পরিস্থিতি বিরাজ করতেছে। মানে একটা ইনছেন্টিভ এখানে আছে জেটা নব্বুই পরবর্তী শময়ে ছিলো না, বইলাই নানান প্রমিজ শত্তেও অভ্যুথানের ইছপিরিটরে পার্টিগুলি আর আপহোল্ড করেনাই, রিল্যাপ্স করছে। মানে শদিচ্ছার ঘাটতি দেখা গেছে। চব্বিশ শেই জায়গায় আলাদা। জনগনের এজেন্সি এইখানে প্রশ্নাতিত। এই শুজোগে এর ভেতর দিয়া একটা শক্ত নতুন পলিটিকাল পার্টি বের হইয়া আশতে পারে, জারা শত্যিকার অর্থেই, অধরা রাজনৈতিক শদিচ্ছাটিরে তলব করতে পারবে। কিন্তু শেইটা করতে, বাংলাদেশের ফেছিবাদি ব্যারাম বিএনপি হেইট্রেড মুলতবি রাখতে হবে, এন্টি-ইডিওলজিকাল অবস্থান নেয়া হইতে বিরত থাকতে হবে এবং চব্বিশের কর্তা হইয়া ওঠার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে। পলিটিকাল পার্টি হিশাবে তাদের শুরু করতে হবে একটা ছলিড ইশতেহার দিয়া। প্রচারনা চালাইতে হবে আর দশটা পার্টির মতই। ইন্টেরিম গবর্ন্মেন্টের এবং আর আর প্রথম আলো, মাহফুজ আনাম মার্কা ছিভিল ছোছাইটির কানপরা হইতে নিজেদের বাচাইয়া একদম রুরাল লেভেলে পৌছানোর বেপারে আন্তরিক থাকতে হবে। মানে একবারেই ক্ষমতায় জাওয়ার টক্সিক পরামর্শগুলারে এভয়েড করতে পারলে এগুলা এমনিতেই হবে। মেইন টার্গেট হবে পরবর্তি শংশদে অন্য বিরোধিগুলারে লিড দিয়া প্রেছিডেন্স তৈরি করার মত প্রশ্ন আর তর্কের পরিবেশ তৈরি ও জারি রাখা। এবং একমাত্র এইভাবেই আনীত মেরামত ইমপ্লিমেন্ট ও বলবৎ রাখার শদিচ্ছা এবং এক শময় ঐতিহ্য তৈরি হবে।
শেশত, রাজনিতিতে গনতান্ত্রিক কম্পিটিশনের উপর কছম আনতে হবে। এমন কোন মেরামতরে এলাউ করা যাবে না, জা ওই কম্পিটেটিভ পরিবেশরে আন্ডারমাইন করে। কম্পিটিশনের এগেইনস্টে শুশিলতার শর্টকাটরে পরিত্যাগ করতে হবে। কম্পিটিশনের কোন বিকল্প নাই। ওই টেম্পারমেন্ট টেনাসিটি তৈয়ার কইরাই জুলাই পরবর্তি বাংলায় পলিটিক্স করতে হবে। এই কম্পিটিশনই পার্টিগুলিরে আল্টিমেটলি আমের কাছে লইয়া জায়। এইটাই পলিটিক্সের আল্টিমেট এলগরিদম, যদি আপনি আমরে লগে লইয়া রাজনিতি করতে চান। বাকিশব ভালো ভালো কথা কম্পিটিশন এরাইয়া এলিটি পলিটিক্স করার বাহানা মাত্র। ডেমোক্রেছিরে খুন কইরা জার শমাধা হয়। চব্বিশের অভ্যুত্থান এক্সক্লুসিভলি একটা নতুন পলিটিকাল তৎপরতারে ইনস্টিগেইট করার অভ্যুত্থান। এই হিশাবেই এই অভ্যুত্থানরে বুঝতে পারা দরকার।
তো অনেকগুলা কথা হড়বড় কইরা কইলাম। আশলে কি কইতে চাইছি তারে কয়েকটা পয়েন্টে ন্যারো ডাউন করি জাতে আরেকটু খোলাশা হয় কথাগুলা। ১. জেকোনো বদল বা মেরামত শার্বক্ষনিক বলবৎ রাখতে হইলে পলিটিকাল শদিচ্ছারে তলব করতে হইবে ২. জুলাইয়ের অভ্যুত্থানরে পলিটিকাল শদিচ্ছা কায়েমের ইউনিক শুযুগ হিশাবে দেখা জাইতে পারে। তা করতে এইটা যে পুর্বেকার অভ্যুত্থান, পতন ও শুচনাবিন্দুগুলি হইতে আলাদা শেইটা মার্ক করা হইবে ৩. বিএনপিরে আওয়ামি লিগ হইতে আলগা কইরা ট্রিট করতে হইবে। বুঝতে হইবে বিএনপি ঠিক ততটাই ফেছিস্ট শম্ভাবনাবাহি জতটা বাংলাদেশের আর শকল দল। ক্ষমতায় জাইতে পারে বইলা আলাদা চোখে পড়ে মাত্র ৪. রাজনৈতিক শদিচ্ছার পটভুমি রচনায় অভ্যুত্থানের ভেতর হইতে শম্পুর্ন নতুন রাজনৈতিক দল বের হইয়া আসা দরকার ৫. নতুন দলটিরে এলিট ছার্কেল ত্যাগ কইরা পলিটিকাল পার্টিশুলভ কর্মকাণ্ডের ভেতর দিয়া ডেমোক্রেটিক হবার কৌশল রপ্ত করতে হবে। গনতান্ত্রিক প্রতিজোগিতায় কছম কাটতে হবে। ৬. রাজনৈতিক শদিচ্ছার বিস্তারে শংশদিয় তর্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সিরিয়াস বিতর্ক, শংলাপের মেজাজ ধরে রাখতে হবে, শেইদিকে শমস্ত রাজনৈতিক শংস্কৃতিরে পুশ করতে হবে।