সংবিধান তর্ক
জনবিতর্ক, রিপ্রিন্ট, সংবিধান তর্ক
সংবিধান রচনা
পাকিস্তানের শাসনতান্ত্রিক সংবিধান রচনার সময় আমি বলিয়াছিলামঃ পাকিস্তানে ইসলাম রক্ষার চেষ্টা না করিয়া গণতন্ত্র রক্ষার ব্যবস্থা করুন। গণতন্ত্রই ধর্মের গ্যারান্টি। বাংলাদেশের সংবিধান রচয়িতাদেরও আমি বলিয়াছিলাম : বাংলাদেশের সমাজবাদের কোনও বিপদ নাই, যত বিপদ গণতন্ত্রের। গণতন্ত্রকে রোগমুক্ত করুন, সমাজবাদ আপনি সুস্থ হইয়া উঠিবে। পাকিস্তানের নেতাদের মতই আমাদের নেতারাও এই ‘বৃদ্ধের বচন’ শুনেন নাই।
জনবিতর্ক, সংবিধান তর্ক
সংবিধান এবং ক্ষমতার বিন্যাস
সংবিধানের ক্ষমতা রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতার মত না। সংবিধানের ক্ষমতা কিছুটা এবস্ট্রাক্ট। সংবিধানের ক্ষমতা কতোটুকু আসল, আর কতোটুকু নির্বাহী, আইন ও বিচারবিভাগের ক্ষমতাচর্চার ঢাল এটা নির্ভর করে রাষ্ট্রের জনগণ এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতার বিন্যাস এবং ক্ষমতার সম্পর্কের উপড়ে।
জনবিতর্ক, সংবিধান তর্ক
আফটার ফ্যাসিস্ট পলিটিক্যাল মেনিফেস্টো
প্রাথমিকভাবে, জন অভ্যুত্থান ও দীর্ঘদিন ধরে চলা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের পক্ষগুলোর একটা সমন্বিত কনসেন্ট ও বিপ্লবী দলিল তৈরি হতে হবে। যে দলিলে আমাদের সামাজিক চুক্তি আর গণঅভ্যুত্থানে আমাদের যে নতুন ন্যাশনাল হোপ তৈরী হইছে, তা ডিফাইন হবে, এবং জনঅভুত্থানের সর্বদলীয় রূপরেখা হবে এটি। এই সর্বদলীয় রূপরেখা ও সামাজিক চুক্তি কেউ লঙ্ঘন করবে না। এই চুক্তির ভিত্তিতে একটি নতুন সংবিধান তৈরীর দিকে অগ্রসর হবে দেশ।
জনবিতর্ক, সংবিধান তর্ক
জুলাই বিপ্লবের বৈধতা ও বিপ্লব-উত্তর বাংলাদেশ
আমাদের জুলাই বিপ্লবের মূল ভিত্তি ছিল সামাজিক সাম্য এবং, শেষের দিকে, গণতন্ত্রের পুনরূদ্ধার। সদ্য ক্ষমতাচ্যূত সরকার যখন গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করে তখন রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সমতার পরিবর্তে বৈষম্য, রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুন্ঠন, রাজনৈতিক ও জন-পরিসর থেকে বিরোধীদের বিতাড়ন বা বহিস্কার প্রভৃতি অনাচার প্রতিষ্ঠা পায়।